আলঝেইমার ডিজিজ কী? এই রোগ কাদের ও কী কারণে হয়
আলঝেইমার ডিজিজ (Alzheimer's Disease) একটি ক্রনিক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যা মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ (নিউরোন) ধীরে ধীরে ধ্বংস করে, ফলে স্মৃতি, চিন্তাভাবনা এবং আচরণে সমস্যা দেখা দেয়। এটি ডিমেনশিয়া (Dementia) এর সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রধান কারণ। এই রোগের কারণে মানুষ ধীরে ধীরে অনেক কিছু ভুলে যেতে থাকে এবং এক সময় পরিপূর্ণ স্মৃতিশক্তি বিহীন হয়ে পড়ে। আজকের আলোচনায় আমরা এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। আর এটির লক্ষণ ও প্রতিকার জানতে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা পড়ুন।
আলঝেইমার ডিজিজ কী?
আলঝেইমার ডিজিজ একটি প্রগতিশীল নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যা সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি, এবং আচরণের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে অসুবিধা অনুভব করতে শুরু করেন এবং সময়ের সাথে সাথে এই সমস্যা বাড়তে থাকে।
এই রোগের মূল বৈশিষ্ট্য হলো মস্তিষ্কের কোষের ধীরে ধীরে ক্ষতি হওয়া এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। আলঝেইমার ডিজিজের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড প্রোটিন এবং টাউ প্রোটিনের অস্বাভাবিক জমাট বাঁধা এই রোগের সাথে সম্পর্কিত বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া বয়স, জিনগত কারণ, এবং জীবনযাত্রার ধরণও এই রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আলঝেইমার ডিজিজের প্রকারভেদ:
আলঝেইমার ডিজিজকে সাধারণত ৩টি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। এই শ্রেণীবিভাগ মূলত বয়স এবং অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সংঘটিত হয়।
১. প্রাক-প্রকাশিত আলঝেইমার ডিজিজ (Early-Onset Alzheimer's)
প্রাক-প্রকাশিত আলঝেইমার সাধারণত ৪৫ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে দেখা দেয় এবং এটি তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক মানুষকে প্রভাবিত করে। এই ধরণের আলঝেইমারের পেছনে প্রধানত নির্দিষ্ট জিনের মিউটেশন কাজ করে:
• APP (Amyloid Precursor Protein) জিন: এই জিনের মিউটেশন অ্যামিলয়েড বিটা প্রোটিনের উৎপাদন ও জমা হওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, যা নিউরন ক্ষতির মূল কারণ বলে মনে করা হয়।
• PSEN1 (Presenilin 1) এবং PSEN2 (Presenilin 2) জিন: এই জিনগুলির মিউটেশনগুলি অ্যালঝেইমারের রোগের পেছনে যুক্ত থাকলেও, তাদের কার্যাবলী সঠিকভাবে সম্পাদন করতে ব্যর্থ হয়। ফলে অ্যামিলয়েড বিটা প্রোটিনের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং নিউরন ক্ষতি বৃদ্ধি পায়।
২. দেরীতে-প্রকাশিত আলঝেইমার ডিজিজ (Late-Onset Alzheimer's)
দেরীতে-প্রকাশিত আলঝেইমার সাধারণত ৬৫ বছর বা তার উপরে দেখা দেয় এবং এটি আলঝেইমারের সবচেয়ে সাধারণ ফর্ম। এই ধরণের আলঝেইমারের পেছনে জেনেটিক কারণগুলোর মধ্যে প্রধানত নিম্নলিখিতগুলি রয়েছে:
• APOE (Apolipoprotein E) জিন: APOE জিনের ε4 অ্যালিল (allele) আলঝেইমার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ায়। একটি বা দুটি ε4 অ্যালিল থাকলে রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তবে এটি নিশ্চিত করে না যে রোগী অবশ্যই আলঝেইমার ডিজিজে আক্রান্ত হবে।
• অন্যান্য জিন: সাম্প্রতিক গবেষণায় অন্যান্য অনেক জিন যেমন TREM2, CLU, PICALM ইত্যাদি আলঝেইমারের সাথে সম্পর্কিত পাওয়া গেছে। এই জিনগুলির পরিবর্তনগুলি রোগের ঝুঁকি বা প্রগতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. পরিবারগত (Familial) এবং অসংলগ্ন (Sporadic) আলঝেইমার
• পরিবারগত আলঝেইমার: এটি জেনেটিক মিউটেশনের কারণে ঘটে এবং প্রাক-প্রকাশিত ও দেরীতে-প্রকাশিত উভয় ধরণের আলঝেইমারে দেখা দিতে পারে।
• অসংলগ্ন আলঝেইমার: এটি সবচেয়ে সাধারণ ফর্ম এবং এর পেছনে জেনেটিক পাশাপাশি পরিবেশগত ও জীবনধারার কারণগুলিও ভূমিকা পালন করে।
আলঝেইমার ডিজিজের কারণসমূহ:
আলঝেইমার ডিজিজের সুনির্দিষ্ট কারণ পুরোপুরি জানা যায় না, তবে বেশ কয়েকটি কারণ এবং ঝুঁকি ফ্যাক্টর রয়েছে যা এই রোগের বিকাশে ভূমিকা পালন করতে পারে। এই কারণগুলো সাধারণত জিনগত, পরিবেশগত, এবং জীবনযাত্রার কারণে হতে পারে। কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
জেনেটিক কারণ:
যদি কোনো ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলঝেইমার রোগ থাকে, তবে তার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু নির্দিষ্ট জিন, যেমন অ্যাপোলিপোপ্রোটিন E (APOE-e4) অ্যালিল, আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আলঝেইমার ডিজিজের জেনেটিক কারণগুলি ব্যাপক ও জটিল। কিছু নির্দিষ্ট জিনের মিউটেশন এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তবে জীববিজ্ঞান ও পরিবেশগত ফ্যাক্টরগুলিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে গবেষকরা এই রোগের জেনেটিক ও অন্যান্য কারণগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বয়স বৃদ্ধির প্রভাব:
আলঝেইমার ডিজিজের ক্ষেত্রে বয়স একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আলঝেইমার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে আলঝেইমার ডিজিজের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ঝুঁকি আরও বাড়তে থাকে।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মস্তিষ্কে কিছু জৈবিক পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে নিউরনের কার্যকারিতা কমে যায় এবং অ্যামিলয়েড প্লাক্স (amyloid plaques) এবং নিউরোফাইব্রিলারি ট্যাঙ্গেলস (neurofibrillary tangles) জমতে শুরু করে। এগুলো আলঝেইমারের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোর মৃত্যুর কারণ হিসেবে কাজ করে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ ধীরে ধীরে কমে যায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি দুর্বল হতে শুরু করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি বা প্রদাহের (inflammation) বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে থাকে, যা আলঝেইমারের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের আশংকা বাড়িয়ে দেয়।
মস্তিষ্কে প্রোটিন জমাট বাঁধা:
আলঝেইমার ডিজিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো মস্তিষ্কে প্রোটিনের জমাট বাঁধা। এই প্রোটিনগুলো মূলত অ্যামিলয়েড বিটা (amyloid-beta) এবং টাও (tau) প্রোটিন নামে পরিচিত। মস্তিষ্কে এই প্রোটিনগুলোর অস্বাভাবিক স্তূপকরণ এবং জমাট বাঁধা আলঝেইমার ডিজিজের প্রধান লক্ষণ এবং নিউরোনাল ক্ষতির কারণ হিসেবে কাজ করে।
অ্যামিলয়েড বিটা প্রোটিন হল একটি ছোট প্রোটিন অংশ যা অ্যামিলয়েড প্রিকার্সর প্রোটিন (APP) থেকে বিভক্ত হয়ে মস্তিষ্কে তৈরি হয়। আলঝেইমার ডিজিজে, এই প্রোটিনের টুকরোগুলি একত্রিত হয়ে বড় বড় জমাট বাঁধে, যা অ্যামিলয়েড প্লাক্স তৈরি করে। এই প্লাক্সগুলি নিউরনের চারপাশে জমা হয় এবং নিউরোনগুলির মধ্যে যোগাযোগ বিঘ্নিত করে। এটি নিউরোনাল কোষের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে কোষের মৃত্যু ঘটায়। অ্যামিলয়েড প্লাক্স মস্তিষ্কে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে, যা নিউরোনাল কোষের ক্ষতি বাড়িয়ে দেয় এবং আলঝেইমার ডিজিজের অগ্রগতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
টাও প্রোটিন সাধারণত নিউরনের ভিতরে মাইক্রোটিউবুল গঠন করে এবং কোষের পুষ্টি ও পদার্থ পরিবহনে সহায়তা করে। তবে আলঝেইমার ডিজিজে, টাও প্রোটিনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে এই প্রোটিনগুলি জমাট বাঁধে এবং নিউরনের ভিতরে "নিউরোফাইব্রিলারি ট্যাঙ্গেলস" তৈরি করে। এই ট্যাঙ্গেলস নিউরোনের অভ্যন্তরে গঠনগত ও কার্যকরী সমস্যা তৈরি করে এবং কোষের মধ্যে পুষ্টি পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে কোষের ক্ষতি ও মৃত্যু ঘটে।
লাইফস্টাইলের প্রভাব:
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে এবং নিউরোনাল কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না তাদের আলঝেইমার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অতিরিক্ত চিনি এবং প্রসেসড খাবার এই রোগের অন্যতম কারণ। এই খাবারগুলো মস্তিষ্কের ক্ষতির ঝুঁকি দিনের পর দিন বাড়িয়ে দিতে থাকে।
পর্যাপ্ত ও গুণগত মানসম্পন্ন ঘুম মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক তার টক্সিনগুলো দূর করে, যা নিউরোনাল কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে আলঝেইমারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ এটি মস্তিষ্কের মধ্যে অ্যামিলয়েড বিটা প্রোটিনের স্তূপকরণে প্রভাব ফেলে। ধূমপান মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা নিউরোনাল ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি করতে পারে এবং স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, এবং উচ্চ কোলেস্টেরল মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে এবং আলঝেইমারের সম্ভাবনা কমে যায়।
পরিবেশগত কারণ:
বায়ুদূষণ, বিশেষ করে সূক্ষ্ম কণা এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ, মস্তিষ্কে প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুদূষণের সংস্পর্শে থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
লেড (lead), মারকারি, অ্যালুমিনিয়াম এবং অন্যান্য ভারী ধাতুর সংস্পর্শ মস্তিষ্কের কোষের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধাতুগুলো নিউরোটক্সিক হিসাবে পরিচিত, যা মস্তিষ্কের নিউরোনাল কোষের ক্ষতি ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কিছু কীটনাশক, যেমন ডিডিটি (DDT) এবং অন্য রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং নিউরোটক্সিক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে এই ধরনের রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে থাকলে আলঝেইমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
টক্সিনযুক্ত খাবার ও পানি, যেমন অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা পানিতে ভারী ধাতুর উপস্থিতি, মস্তিষ্কের কোষের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। খাদ্য ও পানিতে বিষাক্ত উপাদান মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে বিঘ্নিত করে এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ মস্তিষ্কের প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং নিউরোনাল কোষের ক্ষতি করতে পারে, যা আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্বও মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আলঝেইমার ডিজিজের ক্ষেত্রে পরিবেশগত কারণগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়ুদূষণ, ভারী ধাতুর সংস্পর্শ, কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার, খাদ্য ও পানি দূষণ, এবং মানসিক চাপ ও অনিয়মিত জীবনধারা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এসব কারণ এড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা, বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করা গুরুত্বপূর্ণ।
কোন মন্তব্য নেই