শিশুদের জন্মের পর কখন কোন টিকা দিতে হয় !
বাচ্চাদের টিকাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং দেশের স্বাস্থ্য বিভাগগুলির নির্দেশিকাগুলির ভিত্তিতে বাচ্চাদের নির্দিষ্ট বয়সে টিকা দেওয়ার একটি সাধারণ সময়সূচি রয়েছে। নিচে বাচ্চাদের জন্ম থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া টিকাগুলির তালিকা এবং সময়সূচি দেওয়া হলো:
জন্ম থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত টিকার সময়সূচি:
বয়স |
টিকার নাম |
লক্ষ্য রোগ |
জন্মের সময় |
- বিসিজি (BCG) |
যক্ষ্মা
(টিবি) |
- ওরাল পোলিও
ভ্যাকসিন (ওপিভি)-০ |
পোলিও |
|
- হেপাটাইটিস
বি (HBV)-১ |
হেপাটাইটিস
বি |
|
৬ সপ্তাহে |
- পেন্টাভ্যালেন্ট
(ডিপিটি-হেপাটাইটিস বি-হিব)-১ |
ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটানাস, হেপাটাইটিস বি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি |
- ওরাল পোলিও
ভ্যাকসিন (ওপিভি)-১ |
পোলিও |
|
- রোটাভাইরাস
ভ্যাকসিন |
ডায়রিয়া |
|
- ইনঅ্যাকটিভেটেড
পোলিও ভ্যাকসিন (আইপিভি)-১ |
পোলিও |
|
- পিসিভি-১ |
নিউমোকক্কাল
ইনফেকশন |
|
১০ সপ্তাহে |
- পেন্টাভ্যালেন্ট
(ডিপিটি-হেপাটাইটিস বি-হিব)-২ |
ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটানাস, হেপাটাইটিস বি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি |
- ওরাল পোলিও
ভ্যাকসিন (ওপিভি)-২ |
পোলিও |
|
- পিসিভি-২ |
নিউমোকক্কাল
ইনফেকশন |
|
১৪ সপ্তাহে |
- পেন্টাভ্যালেন্ট
(ডিপিটি-হেপাটাইটিস বি-হিব)-৩ |
ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটানাস, হেপাটাইটিস বি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি |
- ওরাল পোলিও
ভ্যাকসিন (ওপিভি)-৩ |
পোলিও |
|
- ইনঅ্যাকটিভেটেড
পোলিও ভ্যাকসিন (আইপিভি)-২ |
পোলিও |
|
- পিসিভি-৩ |
নিউমোকক্কাল
ইনফেকশন |
|
৯ মাসে |
- হাম রুবেলা
(এমআর)-১ |
হাম, রুবেলা |
- পিসিভি
বুস্টার |
নিউমোকক্কাল
ইনফেকশন |
|
১৮ মাসে |
- পেন্টাভ্যালেন্ট
বুস্টার |
ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটানাস, হেপাটাইটিস বি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি |
- ওরাল পোলিও
ভ্যাকসিন বুস্টার |
পোলিও |
|
২ বছর |
- হাম রুবেলা
(এমআর)-২ |
হাম, রুবেলা |
৫ বছর |
- ডিপিটি
বুস্টার |
ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটানাস |
১০ বছর |
- টিটানাস
ডিপথেরিয়া (টিড) |
টিটানাস, ডিপথেরিয়া |
১৫ বছর |
- টিটানাস
ডিপথেরিয়া (টিড) |
টিটানাস, ডিপথেরিয়া |
টিকা দেওয়ার গুরুত্ব
- রোগ
প্রতিরোধ: এই টিকাগুলো শিশুদের বিভিন্ন গুরুতর সংক্রামক রোগ
থেকে রক্ষা করে।
- স্বাস্থ্যকর
জীবনযাপন: টিকা দেওয়ার ফলে শিশুরা সুস্থ ও শক্তিশালী
জীবনযাপন করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়।
টিকা দেওয়ার সময়সীমা মেনে চলার পরামর্শ:
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশিকা অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। টিকা গ্রহণে কোনও বিলম্ব বা উপেক্ষা করলে শিশুদের সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মী বা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত, কারণ বিশেষ পরিস্থিতিতে টিকার সময়সূচীতে কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে।
নোট:
- মহিলা ও পুরুষের জন্য বিশেষ টিকা: কিছু টিকা শিশুদের ছাড়াও নারীদের এবং পুরুষদের জন্যও নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হয়, যেমন টিটানাস ডিফেন্স (টিডি) টিকা।
- বিশেষ পরিস্থিতিতে টিকা: কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন ক্যান্সার বা ইমিউন সিস্টেম দুর্বলতা থাকলে অতিরিক্ত টিকা বা বিশেষ টিকা দেওয়া হতে পারে।
আপনার শিশুদের টিকাদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং কোনও প্রশ্ন থাকলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
কোন মন্তব্য নেই