Header Ads

কোমল পানীয় আমাদের শরীরের কী কী ক্ষতি করে !

কোমল পানীয়ের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এটি এখন বিভিন্ন দেশের খাদ্য ও পানীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।কোমল পানীয় সহজেই পাওয়া যায় এবং এর মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। এটি দোকান, সুপারমার্কেট, রেস্টুরেন্ট, এবং এমনকি রাস্তার দোকানগুলোতেও সহজে উপলব্ধ। এই সহজলভ্যতার কারণে এটি যে কোনো সময়ে এবং যে কোনো স্থানে পান করা যায়। কোমল পানীয় আমরা পছন্দ করলেও এটির রয়েছে মারাত্নক কিছু শারীরিক ক্ষতি। নিম্নে কোমল পানীয় পান করার প্রধান কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হলো। 

কোমল পানীয় কী? 

কোমল পানীয় বলতে সাধারণত সেই সব পানীয়কে বোঝানো হয়, যেগুলোতে অ্যালকোহল থাকে না এবং যেগুলো তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পান করা হয়। এগুলোতে সাধারণত পানি, চিনি বা মিষ্টি পদার্থ, ফ্লেভারিং উপাদান, এবং কখনও কখনও কার্বন ডাই অক্সাইড মিশিয়ে ফিজি করা হয়। কোমল পানীয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কোলা, লেমনেড, ফ্রুট জুস, এনার্জি ড্রিঙ্ক, এবং ফ্লেভারড সোডা অন্তর্ভুক্ত।


এই ধরনের পানীয়গুলি ঠাণ্ডা অবস্থায় পান করা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট বা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় বেশ জনপ্রিয়। এগুলোতে প্রায়শই ক্যাফেইন বা অন্যান্য উদ্দীপক উপাদানও থাকতে পারে, যা শরীরকে সতেজ রাখার কাজে সাহায্য করে।

কোমল পানীয়ের ক্ষতিকর দিক সমূহ:

কোমল পানীয়, যেমন সফট ড্রিঙ্কস বা কার্বনেটেড বেভারেজ, নিয়মিতভাবে পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর প্রধান ক্ষতিকারক দিকগুলো নিম্নরূপ:

ওজন বৃদ্ধি ও স্থুলতা:

বেশিরভাগ কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। এই অতিরিক্ত ক্যালোরি দ্রুত শরীরে জমা হয় এবং চর্বিতে রূপান্তরিত হয়, যা ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হতে পারে। কোমল পানীয়ের চিনিযুক্ত ক্যালোরিগুলি তৃপ্তি দেয় না, ফলে মানুষ আরও বেশি খাওয়া এবং পান করার প্রবণতা দেখায়। চিনিযুক্ত পানীয়গুলি পেট ভরার অনুভূতি দেয় না, যেটা শক্ত খাবার খাওয়ার সময় হয়। ফলে, কোমল পানীয় পানের পরও মানুষ খাবারের আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে এবং আরও বেশি খাবার খাওয়ার ঝোঁক থাকে, যা অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের দিকে নিয়ে যায়।

কোমল পানীয়ের অতিরিক্ত চিনি শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এটি ধীরে ধীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা মেটাবলিজমের সমস্যা তৈরি করে এবং ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার দিকে পরিচালিত করে।

কিছু মানুষ মনে করেন যে ডায়েট কোমল পানীয় যাতে চিনি নেই স্বাস্থ্যকর বিকল্প, কিন্তু এই পানীয়গুলিতেও কৃত্রিম মিষ্টি থাকে যা ক্ষুধা বাড়াতে পারে এবং মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে সাহায্য করে, যা ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। অনেক কোমল পানীয়তে উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ ব্যবহার করা হয়, যা ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতার অন্যতম কারণ। HFCS শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি শরীরে দ্রুত চর্বিতে রূপান্তরিত হয়।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস:

কোমল পানীয়ের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা যায়। নিয়মিত এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোমল পানীয় গ্রহণ টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বেশিরভাগ কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। এই ধরনের পানীয় গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। ফলে শরীরকে দ্রুত ইনসুলিন তৈরি করতে হয়, যা সময়ের সাথে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় গ্রহণ শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরি হয়। ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে শরীরের কোষগুলি গ্লুকোজ গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না, এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোমল পানীয় নিয়মিত পান করলে ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যালোরি গ্রহণের কারণে শরীরে চর্বি জমা হয়, বিশেষ করে পেটের চর্বি, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

কিছু ডায়েট কোমল পানীয়তে চিনি না থাকলেও কৃত্রিম মিষ্টি থাকে, যা শরীরের হরমোনাল ভারসাম্য এবং মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। যদিও এগুলোতে সরাসরি শর্করা থাকে না, তবুও তারা মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় শরীরে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়াতে পারে, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশে ভূমিকা রাখতে পারে।

দাঁতের ক্ষতি:

কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষতির একটি সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত। এসব পানীয়ের কারণে দাঁতের ক্ষতি বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে, যেমন দাঁতের এনামেলের ক্ষয়, ক্যাভিটি তৈরি, এবং দাঁতের রং পরিবর্তন। বেশিরভাগ কোমল পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, এবং অন্যান্য অ্যাসিড থাকে, যা পানীয়ের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসিডগুলি দাঁতের এনামেলের সাথে বিক্রিয়া করে এবং এটিকে ক্ষয় করতে শুরু করে। 

কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাদ্য সরবরাহ করে। এই ব্যাকটেরিয়া চিনিকে ভেঙে অ্যাসিড উৎপন্ন করে, যা দাঁতের এনামেল এবং ডেন্টিনে আক্রমণ করে। এই প্রক্রিয়া ক্যাভিটি বা দাঁতের গর্তের সৃষ্টি করে এবং দাঁতের ক্ষতি বাড়িয়ে তোলে। অনেক সময় কোমল পানীয় পান করার ফলে পানীয় জলের চেয়ে কম ফ্লুরাইড গ্রহণ করা হয়, যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কোমল পানীয়তে উপস্থিত অ্যাসিড দাঁতের উপরের স্তরকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে। দীর্ঘ সময় ধরে এবং নিয়মিত কোমল পানীয় পান করলে এটি দাঁতের রং পরিবর্তন করতে পারে এবং দাঁতের পৃষ্ঠকে দুর্বল ও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। কিছু কোমল পানীয়, বিশেষ করে যেগুলোতে ক্যাফেইন থাকে, মুখের আর্দ্রতা কমাতে পারে, যার ফলে লালার নিঃসরণ কমে যায়। লালা মুখের স্বাভাবিক অ্যাসিড এবং ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এবং লালার অভাবে দাঁতের ক্ষতি দ্রুততর হয়।

হাড়ের ক্ষতি:

কোমল পানীয়ের অতিরিক্ত সেবন হাড়ের ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিস ও হাড়ের ঘনত্ব কমার মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। অনেক কোমল পানীয়তে ফসফরিক অ্যাসিড থাকে, যা পানীয়কে টার্ট স্বাদ দিতে সাহায্য করে। ফসফরিক অ্যাসিড শরীরের ক্যালসিয়ামের শোষণ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন ও শক্তিশালী করার জন্য অপরিহার্য, এবং এর অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

কোমল পানীয় বেশি পান করলে দুধ ও অন্যান্য ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ পানীয়ের গ্রহণ কমে যায়। এতে শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়, যা হাড়ের শক্তি ও ঘনত্ব হ্রাস করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে কার্বোনেটেড পানীয় যেমন কোমল পানীয় শরীরের ক্যালসিয়ামের স্তর কমিয়ে দিতে পারে। যদিও কার্বনেশন সরাসরি হাড়ের ক্ষতি করে না, তবে কোমল পানীয়ের সঙ্গে থাকা অন্যান্য উপাদান, যেমন ফসফরিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেইন, ক্যালসিয়াম শোষণে সমস্যা সৃষ্টি করে।

অনেক কোমল পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের নিঃসরণ বাড়ায়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে, যা হাড়ের ক্ষয় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

হার্টের সমস্যা: 

কোমল পানীয়ের অতিরিক্ত সেবন হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা শরীরে দ্রুত শর্করা বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় নিয়মিত পান করার ফলে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরি হতে পারে। ইনসুলিন প্রতিরোধ হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে শরীর সঠিকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে না। এটি মোটাবলিক সিনড্রোমের সাথে সম্পর্কিত, যা উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তে চিনি, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত কোমল পানীয় পান করার ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। কোমল পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন এবং চিনি রক্তচাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। চিনিযুক্ত কোমল পানীয় শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা হৃদপিণ্ডের ধমনীতে জমা হওয়া প্লাকের পরিমাণ বাড়ায়। এই প্রদাহ হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পান করেন, তাদের মধ্যে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, যেমন হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, এবং হৃদপিণ্ডের অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কিডনি সমস্যা:

কিডনি সমস্যার ক্ষেত্রে কোমল পানীয় পান করা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। কোমল পানীয়গুলোতে সাধারণত প্রচুর চিনি, কৃত্রিম মিষ্টিকারক, এবং ফসফরিক অ্যাসিড থাকে, যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কোমল পানীয়তে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করতে সহায়তা করে, যা কিডনির পাথরের প্রধান উপাদান। ফলে কোমল পানীয় বেশি খেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টিকারকযুক্ত কোমল পানীয় নিয়মিত গ্রহণ করলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। কোমল পানীয়তে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে প্রস্রাবে প্রোটিনের লিকেজ ঘটে, যা কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ।

লিভারের সমস্যা:

কিডনি সমস্যার ক্ষেত্রে কোমল পানীয় পান করা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। কোমল পানীয়গুলোতে সাধারণত প্রচুর চিনি, কৃত্রিম মিষ্টিকারক, এবং ফসফরিক অ্যাসিড থাকে, যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কোমল পানীয়তে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট ক্রিস্টাল তৈরি করতে সহায়তা করে, যা কিডনির পাথরের প্রধান উপাদান। ফলে কোমল পানীয় বেশি খেলে কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

অন্যান্য সমস্যা: 

এছাড়াও কোমল পানীয় আমাদের শরীরে আরও বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে। নিম্নে আরও কিছু ক্ষতিকর দিক সমূহ তুলে ধরা হলো: 

  • ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুকি বাড়িয়ে দেয়।
  • শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে।
  • শরীরে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করে।
  • লিভারের সিরোসিসের আশংকা বৃদ্ধি করে দেয়।
  • ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য মিনারেলের ঘাটতি তৈরি করে।
  • শরীরে অ্যাসিডিক ভারসাম্য নষ্ট করে এ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে।
  • শরীরে মারাত্নক ভাবে ক্যালসিয়ামের অভাব তৈরি করে।

অতিরিক্ত চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টিকারকযুক্ত কোমল পানীয় নিয়মিত গ্রহণ করলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। কোমল পানীয়তে থাকা ক্ষতিকারক উপাদানগুলো কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে প্রস্রাবে প্রোটিনের লিকেজ ঘটে, যা কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.