ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধের প্রধান ১০টি উপায়
ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন বা ভ্যাজাইনাল ক্যাণ্ডিডায়াসিস হলো এক ধরনের সংক্রমণ যা সাধারণত ক্যান্ডিডা নামক ফাঙ্গাসের কারণে হয়। এই ফাঙ্গাসটি সাধারণত শরীরে সর্বদা উপস্থিত থাকে কিন্তু কখনো কখনো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। আজকের আলোচনায় আমরা ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধের ১০টি উপায়:
ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন (vaginal yeast infection) বা ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি ও দৈনন্দিন যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। এটি সাধারণত ইস্ট বা ক্যান্ডিডা নামক এক ধরনের ফাঙ্গাসের অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি ঠেকানোর মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। নিচে এই সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ১০টি উপায় দেয়া হলো:
১. সঠিক পুষ্টি গ্রহণ:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে সঠিক পুষ্টি গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে মজবুত রাখা সম্ভব, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে
সহায়ক। প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন দই, কিমচি, মিসো, সয়া দই বা কম্বুচা,
ইত্যাদি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এগুলো শরীরে ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে কার্যকর। ফাঙ্গাস সাধারণত চিনি বা শর্করা থেকে
পুষ্টি গ্রহণ করে। তাই চিনিজাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি, সফট ড্রিঙ্ক ইত্যাদি কম খাওয়া উচিত।
এটি ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি হ্রাস করতে সাহায্য করে। রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি
রোধে সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন খাবারের সাথে রসুন যোগ করা যেতে পারে। ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেমকে
শক্তিশালী করে এবং শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। আম, লেবু, কমলা, পেঁপে, এবং স্ট্রবেরি ইত্যাদি ভিটামিন সি-এর ভালো
উৎস।
২. প্রোবায়োটিক গ্রহণ:
ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে প্রোবায়োটিক গ্রহণ খুবই কার্যকরী হতে পারে। প্রোবায়োটিক হল এমন কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া যা অন্ত্র এবং যোনির স্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ভ্যাজাইনাল এলাকায় ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামে কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা প্রাকৃতিকভাবে ভ্যাজাইনার পিএইচ বজায় রাখে এবং ক্ষতিকারক ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। যখন প্রোবায়োটিক গ্রহণ করা হয়, এটি শরীরের ল্যাক্টোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং যোনির সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন দই, কিমচি, মিসো, সয়া দই বা কম্বুচা, ইত্যাদি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক গ্রহণের কিছু সুবিধা:
- যোনির পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- ফাঙ্গাসের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি প্রতিরোধে কার্যকর।
- অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা সরাসরি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
- বারবার ইস্ট ইনফেকশনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত প্রোবায়োটিক গ্রহণ এ থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৩. সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখা:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোনির সঠিক পিএইচ ব্যালান্স এবং আর্দ্রতা বজায় রাখলে ক্ষতিকারক ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সুতি অন্তর্বাস বাতাস চলাচলে সহায়ক এবং অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে। এর ফলে যোনি
এলাকাটি শুষ্ক থাকে এবং ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। সিনথেটিক বা টাইট অন্তর্বাস
পরা উচিত নয়, কারণ তা আর্দ্রতা আটকে
রাখে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। যোনি পরিষ্কার করার সময় সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার বা হাই-ফ্রেগ্রেন্সড
প্রোডাক্ট এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যথেষ্ট। ব্যায়াম, সাঁতার বা অতিরিক্ত ঘামের
পর ভেজা অন্তর্বাস বা পোশাক দ্রুত
বদলানো উচিত। ভেজা পোশাক দীর্ঘ সময় ধরে পরলে যোনির চারপাশে আর্দ্রতা বাড়তে পারে, যা ফাঙ্গাস বৃদ্ধির
জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
শরীরে
পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি। পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিকভাবে যোনির আর্দ্রতা ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক। টয়লেট ব্যবহারের পর সামনের দিক
থেকে পিছনের দিকে মুছা বা পানি খরচ
করা উচিত। যাতে মলদ্বারের ব্যাকটেরিয়া যোনির দিকে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। যদি
প্রয়োজন হয়, তবে যোনির বাইরে সামান্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে অবশ্যই ফ্রেগ্রেন্সমুক্ত এবং এলার্জি-রোধী পণ্য ব্যবহার করা উচিত।
৪. পৃথক তোয়ালে ব্যবহার:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, এবং এর অংশ হিসেবে
আলাদা তোয়ালে ব্যবহার করা অত্যন্ত কার্যকর। পৃথক তোয়ালে ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ
থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তোয়ালে ভাগাভাগি করলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এবং অন্যান্য জীবাণুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে। যেহেতু ফাঙ্গাস আর্দ্র এবং উষ্ণ পরিবেশে সহজেই বৃদ্ধি পায়, তাই তোয়ালে একটি সংক্রমণের মাধ্যম হতে পারে। যদি বাইরে বা কোনো পাবলিক
জায়গায় থাকতে হয়, নিজের ব্যক্তিগত তোয়ালে সঙ্গে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। হোটেল বা পাবলিক প্লেসের
তোয়ালে ব্যবহারের আগে অবশ্যই তা পরিষ্কার কিনা
নিশ্চিত হওয়া উচিত।
৫. সুগন্ধী প্রোডাক্ট থেকে বিরত থাকা:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে সুগন্ধীযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। সুগন্ধীযুক্ত প্রোডাক্ট, যেমন পারফিউম, ডিওডোরান্ট, সাবান, এবং স্প্রে যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ ব্যালান্স নষ্ট করতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের
ঝুঁকি বাড়ায়। এই রাসায়নিক পদার্থগুলো
যোনির পরিবেশকে ক্ষারীয় করে তোলে, যা স্বাভাবিক পিএইচ
স্তর (৩.৮-৪.৫) পরিবর্তন করে
এবং ইস্ট ফাঙ্গাসের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভ্যাজাইনাল ডিওডোরান্ট ও পারফিউমে থাকা
রাসায়নিক পদার্থ যোনির সংবেদনশীল ত্বককে উত্তেজিত করতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি
বাড়ায়। সুগন্ধীযুক্ত সাবান বা শাওয়ার জেল
সাধারণভাবে যোনির পিএইচ ব্যালান্স পরিবর্তন করতে পারে। এর পরিবর্তে সুগন্ধীহীন,
মৃদু এবং প্রাকৃতিক সাবান ব্যবহার করা ভালো। সুগন্ধীযুক্ত প্যাড বা ট্যাম্পন দীর্ঘ
সময় ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি সৃষ্টি
করতে পারে।
যোনির
নিজস্ব পরিস্কার করার প্রক্রিয়া আছে, তাই অতিরিক্ত ক্লিনজার বা কেমিক্যাল ব্যবহার
করার প্রয়োজন নেই। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কিছু প্রাকৃতিক এবং সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন:
- প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- সুতি অন্তর্বাস পরিধান করুন, যা বায়ু চলাচলে সাহায্য করে।
- ভেজা অন্তর্বাস এড়িয়ে চলুন এবং পরিচ্ছন্ন রাখুন।
৬. টাইট ফিটিং কাপড় এড়ানো:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে টাইট ফিটিং কাপড় পরা এড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। টাইট কাপড় যোনি অঞ্চলে সঠিক বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে, যা ফাঙ্গাস বৃদ্ধির
উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। টাইট কাপড়, বিশেষ করে সিনথেটিক বা নাইলনের মতো
কাপড়, ত্বকে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং আর্দ্রতা জমা রাখে। যোনির আশেপাশের এই আর্দ্রতা ইস্ট
ফাঙ্গাস বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। টাইট কাপড় পরলে ত্বক পর্যাপ্তভাবে শ্বাস নিতে পারে না, ফলে উষ্ণ এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ তৈরি হয় যা ফাঙ্গাস
সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। টাইট কাপড় বিশেষ করে ব্যায়াম করার সময় ঘর্ষণের সৃষ্টি করে, যা যোনির আশেপাশের
ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
৭. বাথরুমের সঠিক পরিচর্যা:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে বাথরুমের সঠিক পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যা না করলে বাথরুম
জীবাণু এবং ফাঙ্গাসের সংক্রমণের উৎস হতে পারে। টয়লেট, বেসিন, এবং মেঝে প্রতিদিন ভালোভাবে পরিষ্কার রাখলে জীবাণু কমে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহার করার পর ঢাকনা বন্ধ
করে ফ্লাশ করা উচিত, যাতে জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া
পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন এবং টয়লেট সিটকে টিস্যু দিয়ে মুছে নিন অথবা সিট কভার ব্যবহার করুন। টয়লেট ব্যবহারের পর সামনের দিক
থেকে পিছনের দিকে মুছা উচিত, যাতে মলদ্বারের ব্যাকটেরিয়া যোনির দিকে ছড়িয়ে না পড়তে পারে। বাথরুমে
পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখা উচিত। এতে ভ্যাজাইনাল ইনফেকশন তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমে। বাথরুম ব্যবহারের পর জানালা খুলে
রাখা বা এক্সস্ট ফ্যান
চালু করা উচিত।
৮. সঠিক পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখা:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোনির স্বাভাবিক পিএইচ সাধারণত ৩.৮ থেকে
৪.৫-এর মধ্যে
থাকে, যা সামান্য অম্লীয়
এবং এটি ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাসকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকলে ইস্ট সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। সুগন্ধীযুক্ত সাবান, স্প্রে, এবং অন্যান্য যোনি পরিষ্কারক প্রোডাক্ট যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ পরিবর্তন করতে পারে। এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।
পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের টক্সিন বের করে এবং যোনির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই পিএইচ ভারসাম্য স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
৯. পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে পিরিয়ডের সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যোনি অঞ্চলে আর্দ্রতা এবং রক্তের উপস্থিতি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। প্রতি ৪-৬ ঘন্টা
পরপর প্যাড বা ট্যাম্পন পরিবর্তন
করা উচিত। দীর্ঘ সময় একই প্যাড বা ট্যাম্পন ব্যবহারে
আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হতে পারে, যা সংক্রমণের ঝুঁকি
বাড়ায়। মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করলে প্রতি ৮-১২ ঘণ্টা
পর তা পরিষ্কার করে
আবার ব্যবহার করা উচিত। সুগন্ধীযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ট্যাম্পন এড়ানো
উচিত, কারণ এগুলোর রাসায়নিক পদার্থ যোনির প্রাকৃতিক পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুগন্ধীহীন এবং তুলার তৈরি প্যাড বা প্রোডাক্ট ব্যবহার
করা ভালো।
১০. নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ:
ভ্যাজাইনাল
ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে নিয়মিত মেডিকেল চেকআপ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই চেকআপগুলির মাধ্যমে
যোনির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যার আগেই সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসা করা সম্ভব। নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আপনার যোনি অঞ্চলের স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ করতে পারেন। এতে যোনির স্বাভাবিক অবস্থার বিপরীত কিছু দেখা দিলে তা দ্রুত সনাক্ত
করা যায়। নিয়মিত পরীক্ষায় যদি কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তবে চিকিৎসক তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন। এতে ইস্ট ইনফেকশন বা অন্যান্য সংক্রমণের
ঝুঁকি কমে যায়।
কোন মন্তব্য নেই